০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:১৮
রুশরা এমনিতেই শারিরিক ব্যাপারে একটু (একটু নয় অনেক খানিকটা)উদার (কাজাক¯থান, আজারবাইজান, উজবেকস্থান সহ কিছু প্রদেশ বাদে)। যুদ্ধ-বিগ্রহ বিদ্রোহ কিংবা অন্যান্য বিবিধ কারনে পুরুষের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কমে গেছে।আর কিছু অংশ সহজলভ্য বিখ্যাত রুশ ভদকার অপার মহিমায় শৈর্য বির্যহীন হয়ে প্রায় ক্লিবের পর্যায়ে চলে গেছে। মেয়েদের উপর জুলুম অত্যাচার করবে যে পুরুষ তাদেরকেই যেন হারিকেন দিয়ে খুজতে হয়। সেখানে অবস্থাটা সহজেই অনুমেয় ।গ্রীস্মে ওদেশে দেখেছি বাজারের সবচেয়ে মুল্যবান আধুনিক ফ্যাশনের (চারিদিক দিয়ে উদার হস্তে ছেটে কেটে যথাস্মভব ছোট করা হয়েছে) পোষাক পরে যথাসম্ভব সাজগোজ করে দুর্দান্ত কোন রুপসী সুবাস ছড়িয়ে হেলেদুলে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে আর পুরুষরা যেন সব সাধু যোগী সেদিকে একবার তাকালেই যেন তার ধ্যান ভেঙ্গে যাবে। ভুল বললাম তাদের উদাসীন চোখের এ সৌন্দর্য উপভোগ করার মত ক্ষমতা ছিলনা।আমরা কোন সুবেশী সূদর্শন পুরুষকেও রাস্তা দিয়ে হাটলে দু’একবার ঠারে ঠুরে দেখি। আর এমন অস্পরীর মত রুপসী! হায় আল্লাহ! বাঙ্গালী ললনাদের যেন এদিন কোনদিন না আসে। তখন সমস্ত রাশিয়ায় ‘ধর্ষনের’ ঘটনা প্রায় ঘটতনা বললেই চলে। এটার পিছনে অবশ্য নারিদের আধিক্য পুরুষদের নিস্পৃহতাই মুল কারন নয় আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে কম্যুনিজমের কড়া শাসন (সেটা অবশ্য সাধারনদের জন্য ‘যারা সমাজের উচুপদে আসীন তাদের ব্যাপার আলাদা। তাদের আরেকটা সুবিধা হোল তারা না চাইতেই অনেক বেশী পেয়ে যায় - অতএব ...প্রয়োজন পরেনা!)রুশরা নিজেদেরকেই ব্যাঙ্গ করে বলে,’ আছে কি তেমন নারী যে তার স্বামী যুদ্ধে গেলে পর পুরুষের সাথে ঘুমায়নি?!’এক রুশ সুন্দরী তার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ঘটনার বর্ননা করেছিল এইভাবে;এক গ্রীস্মের ছুটিতে মস্কো থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দুরে মফস্বলে খালার বাসায় বেড়াতে গেল। ছোট্ট ছিমছাম মফস্বল শহর। কিন্তু বেশীদিন থাকলে একঘেয়ে ও বিরক্তি লাগা স্বাভাবিক। সে গেলে আশেপাশের ছেলে মেয়েরা যেন একটু নতুনত্বের সন্ধান পেত।একেতো সুন্দরী তারপরে শহুরের মেয়ে সেজন্য সবাই তাকে একটু অন্যভাবে মুল্যায়ন করত। তার বয়েসীরা গভীর মনোযোগে লক্ষ্য করত তার হাটাচলা, পোষাক আশাক, কথাবার্তা ।দুচারটে বখাটে ছেলে(বয়সে তার থেকে একটু বড়) বাড়ির আশপাশ দিয়ে ঘুর ঘুর করত তার তীর্যক চাহনী আর বক্র হাসির লোভে। কেমনে যেন তাদের সাথে ভাব হয়ে গেল একদিন। বন্ধুত্বের সুত্র ধরে একদিন তাকে জোর করে(তার ভাষ্যমত-আমার বিশ্বাস হয়না)একটা পোড়োবাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে ওদের খায়েস হোল মেয়েটাকে ধর্ষন করবে। কিন্তু সমস্যা হোল এসব ব্যাপারে তাদের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই! তাছাড়া শহুরে স্মার্ট মেয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে বলে দিলে বিপদ! আবার নাবালিকা হওয়ার একটা সম্ভবনা থেকে যায়। সে-তো আর আমাদের দেশের মত তো নয় যে স’মবয়সী দুজন পালিয়ে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করল। পরবর্তীতে বাদী পক্ষের (মেয়েপক্ষ) উকিল দলিলপত্র ঘেটে প্রমান করল মেয়ের বয়স চৌদ্দ আর ছেলের বত্রিশ।ক’বোতল ভদকা পেটে চালান করে দীর্ঘক্ষন গভীর আলোচনা শেষে তন্মধ্যে ষন্ডা টাইপের একজন ক্রুর ভীষন চক্ষে(!) সবিনয়ে নিবেদন করল , ‘ম্যাডাম আপনার সদয় অনুমতি নিয়ে আমরা কি আপনাকে ধর্ষন করতে পারি?’ সঙে সঙ্গে সে আঁতকে উঠে ছিটকে দাড়াল,’আ বলে কি? অসম্ভব!ছেড়ে দাও এক্ষুনি আমি পুলিশের কাছে যাব।’তার হম্বিতম্বিতে শেষমেষ ওই নব্যধর্ষনকারী(সবে আগ্রহী)রা চোখের জলে নাকের জলে পালানোর পথ দেখে না।এটুকু বলেই গর্বিত ভঙ্গীতে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল। আমি জিজ্ঞেস করলাম ,’তারপর।’প্রতিউত্তরে সে মুখমন্ডলে রক্তের গোলাপী আভাছড়িয়ে লাজুক হাসি হেসে মুখ নিচু করে বলল,’তারপর আর কি?ছেলেদের এমন বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে মায়া হোল ! আর কাতর নয়নের আকুতি আমি উপেক্ষা করতে পারলাম না! শেষমেষ...(লেখাটা আমি প্রথমে প্রকাশ করতে চাইনি। মনে হচ্ছিল ধর্ষন-এর মত একটা ন্যক্কার জনক ব্যাপার তা সে যেমনই হোক, রসিয়ে উপস্থাপন করার কোন উপকরন হতে পারেনা। ঘটনাটা সত্যি-কাহিনীটা মজার ছিল, তাই একটু শেয়ার করতে চাইলাম।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Harrah's Las Vegas - Mapyro
উত্তরমুছুনHarrah's 경기도 출장마사지 Las Vegas is a hotel and casino 보령 출장안마 located 양산 출장안마 on the Las Vegas Strip in Paradise, Nevada. The casino is 문경 출장마사지 open 인천광역 출장마사지 daily 24 hours.